Random Posts

Theme images by Storman. Powered by Blogger.

Ads Top

Home Ads

Categories

Tags

Popular Posts

Latest in Sports

Featured Posts

গাজীপুরের কাঁঠাল পেল ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি: ঐতিহ্যের নতুন স্বীকৃতি

- No comments

গাজীপুর এর কাঁঠাল
জিআই পেল গাজীপুর এর সুস্বাদু কাঁঠাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বাংলাদেশের কৃষিখাতের গর্ব ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে গাজীপুরের কাঁঠাল এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সুস্বাদু ফল কাঁঠালের এই স্বীকৃতি শুধু গাজীপুরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের জন্যই এক গর্বের বিষয়।

GI (Geographical Indication) স্বীকৃতি হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সনদ, যা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক পণ্যের গুণমান, খ্যাতি ও উৎপাদন পদ্ধতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গাজীপুরের কাঁঠাল তার স্বাদ, সুগন্ধ ও রসাল গঠন-এর জন্য বহু আগে থেকেই বিখ্যাত। এখন GI ট্যাগের মাধ্যমে এই বিশেষত্ব আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হলো।
গাজীপুরের কাঁঠালের বৈশিষ্ট্য:
GI স্বীকৃতির লাভ কী?
২০২৫ সালের জুলাই মাসে গাজীপুরের কাঁঠাল আনুষ্ঠানিকভাবে GI নিবন্ধন লাভ করে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল হালিম বলেন,
গাজীপুরের কাঁঠাল GI তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কৃষি পণ্য হিসেবে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে। এটি শুধু কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকেই নয়, দেশের খাদ্য ও রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়।














গাজীপুর এর বিখ্যাত কাঁঠাল
কাঁঠালের কোষ ও বিচি খুবই পুষ্টিকর






·
          বিশেষ সুগন্ধযুক্ত

·        তুলনামূলক নরম শাঁস

·        স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টি


·        সহজে সংরক্ষণযোগ্য

·        রপ্তানিযোগ্য মানসম্পন্ন

·       ️ নকল প্রতিরোধে সহায়তা করবে

·       ️ চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করবে

·       ️ রপ্তানি বাড়বে আন্তর্জাতিক বাজারে

·       ️ আঞ্চলিক ব্র্যান্ডিং ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে

“আমরা অনেক আগে থেকেই জানি, গাজীপুরের কাঁঠালের মতো মিষ্টি কাঁঠাল আর কোথাও নেই। এখন সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়ে আমরা অনেক খুশি।”

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, হুমকির মুখে বাংলাদেশ?

- No comments

ট্রেনিং নিচ্ছে রোহিঙ্গা
প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চল কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশ এখন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির আলামত দেখাচ্ছে। ATN নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ, মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সংগঠন ARSA (Arakan Rohingya Salvation Army)-এর সক্রিয় সদস্যরা বাংলাদেশের ভেতরেই সশস্ত্র প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও উগ্রবাদী প্রচারপত্র। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রগুলো ক্যাম্পের ভেতর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এদের ব্যবহার হতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাতের বেলায় পাহাড়ি এলাকায় অচেনা চলাচল, আলো-আঁধারি বৈঠক এবং সন্দেহজনক গতিবিধি বেড়ে গেছে।
একজন গ্রামবাসী বলেন: “আগে শুধু চুরি-ছিনতাই ছিল, এখন গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি।”

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক। পুলিশের একটি দল ক্যাম্পে রাতের বেলাতেও টহল দিচ্ছে।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ আমরা সহ্য করব না। কঠোর নজরদারি চলছে।”

বাংলাদেশ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হলেও, ক্যাম্পের কিছু অংশ এখন সন্ত্রাসী আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রোহিঙ্গাদের মধ্যে যদি এই যুদ্ধসদৃশ মানসিকতা ছড়ায়, তবে তা কেবল বাংলাদেশের নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি।”

ক্যাম্পে জাতীয় পরিচয় যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সীমান্ত এলাকায় আর্মড নজরদারি স্থায়ীভাবে বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তবে এখন সেই মানবতার সুযোগ নিয়ে যদি কেউ অস্ত্র তোলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা উচিত। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, গোয়েন্দা তৎপরতা, সামাজিক সচেতনতা ও কূটনৈতিক চাপ—সবমিলেই এই সংকটের সমাধান সম্ভব।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতাকে ‘চাঁদাবাজি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে’ বহিষ্কার

- No comments
বিএনপির চার নেতা বহিস্কার
বিএনপির চার নেতা বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগর বিএনপি থেকে সাম্প্রতিক সংগঠক বিচ্ছেদ ঘটেছে—দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি এবং অ-নৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যসহ সর্বস্তরের পদ থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে । বহিষ্কৃত নেতারা হলেন - রাকিব উদ্দিন সরকার (পাপ্পু), সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি, আব্দুল হালিম মোল্লা: মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য‌-সচিব, জিয়াউল হাসান (স্বপন): সাবেক সদস্য, মহানগর বিএনপি; টঙ্গী পূর্বে গ্রেপ্তার, সিরাজুল ইসলাম (সাথী), টঙ্গী পূর্ব থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য‌-সচিব, গাজীপুর মহানগর বিএনপি এর সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম বলেন, “চাঁদাবাজি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দল হওয়ার কারণে, এমন নেতাদের কোন স্থান নেই।” টঙ্গীতে গ্রেপ্তার:জিয়াউল হাসান ‘স্বপন’ টঙ্গী পূর্ব থানার দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় শুক্রবার দুপুরে আটক হন। মামলা অনুসন্ধানে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দলীয় প্রতিক্রিয়া এবং ভাবনা:কোনও নেতাজন বলেন, “কর্মীদের মাঝে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় এমন কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল” । তবে সাহসী অপশন হিসেবে পাপ্পু সরকারের সমর্থকরা বলেন সেই অভিযোগ অযৌক্তিক, তার বহিষ্কার একতরফা সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করছে। গাজীপুর বিএনপিতে বহু কারখানা ও বস্তির আলাদা রাজনৈতিক অঞ্চল। সেই অঙ্গ-স্বেচ্ছাসেবকদের কার্যক্রমে মাঝে মাঝে অগোছালো চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে থাকে। এই বিচ্ছেদ মূলত সংগঠনের শৃঙ্খলাবদ্ধতা রক্ষা এবং দলের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে গৃহীত বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। বিএনপি’র পক্ষ থেকে জানান হয়েছে—‘চাঁদাবাজি ও অ-নৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতার সামনে দল কঠোর’, এবং ভবিষ্যতেও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে।

গাজীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক মাস পর আহত বৃদ্ধের মৃত্যু, পরিবারে শোকের মাতম

- No comments

নিহত নাসির পালোয়ান
নিহত নাসির পালোয়ান  ছবি- গাজীটাইমস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার জরুনে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর গ্যাংয়ের নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত ৯০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন পালোয়ান এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে প্রাণ হারিয়েছেন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নাসিরউদ্দিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। বৃহস্পতিবার শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মে গভীর রাতে জরুনে তাদের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায় একটি কিশোর গ্যাং। ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠি নিয়ে গ্যাং সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলায় নাসিরউদ্দিন পালোয়ানসহ একই পরিবারের মোট ৯ জন গুরুতর আহত হন। আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নাসিরউদ্দিনের মাথায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করা হলে খুলি ফেটে যায়। চিকিৎসকেরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উত্তরা শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি টানা এক মাস লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

হামলাকারী
হামলাকারী

নিহতের ছেলে মো. শাহ আলম পালোয়ান জানান, হামলার ঘটনায় কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে কোনাবাড়ি থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেনের ছেলে ওয়াসিফ সালিমসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ।

এ বিষয়ে কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, “প্রথমে মামলাটি হত্যার চেষ্টার (৩০৭ ধারা) অধীনে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি ৩০২ ধারায় হত্যার মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”

স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ডোবার পানি: ২ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ডুবে নিহত

- No comments

পানিতে ডুবে মৃুত্যু
পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু - ছবি গাজীটাইমস

গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়ার দিঘীরপাড় এলাকা আজ রোববার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রংপুর ও সিরাজগঞ্জের দুই শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। নিহতরা যথাক্রমে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জুনায়েদ (১২) ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আব্দুল মমিন (১২)। উভয়ই এলাকার আল ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

পুলিশ ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, ভিকটিমরা সকালে জমে থাকা ডোবার পানিতে সাঁতার কাটা শুরু করেন। দুর্ভাগ্যবশত, সাঁতার জান না বলে তারা পানিতে ডুবে যায়। পাশের খেলতে থাকা শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন, তবে তারা মৃত অবস্থায় উদ্ধার হন।

এই ডোবায় পড়ে মৃুত্য

এই ডোবায় পড়ে মৃুত্য - ছবি গাজীটাইমস

কোনাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

স্থানীয়দের উদ্বেগ ও প্রতিকার:
এলাকাবাসী আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন যে বর্ষাকালে জমে থাকা অবহেলিত এসব ডোবা শিশুর জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হয়ে উঠছে। তাদের দাবি, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হোক এবং জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা আর না ঘটে।

এ ঘটনায় শিশুদের সাঁতার না জানা একটি বড় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র ডোবার পানি নিষ্কাশন করা নয়, বর্ষার শুরুতেই সাঁতার শিক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচারণায় জোর দেওয়াও জরুরি। আশা করা যায়, স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা এই মর্মান্তিক ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবেন ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়ে জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

ছোলা: পুষ্টিগুণে ভরপুর স্বাস্থ্যকর খাবার

- No comments

ছোলা - খুবই ভাল স্বাস্থ্যের জন্য
ছোলা - স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোলা বা বুট—a আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম পরিচিত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি উপাদান। ভাজা, সিদ্ধ, বা তরকারি হিসেবে—নানাভাবেই এটি খাওয়া হয়। রমজানে ইফতারে ছোলার স্থান তো অবধারিত! তবে এর গুণাগুণ শুধু স্বাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ছোলার পুষ্টিগুণ: ছোলা প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ। 


প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৯ গ্রাম প্রোটিন ও ১৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি দেহের শক্তি বাড়ায় এবং 


দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।


স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা:

  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ওজন কমাতে সহায়তা করে
  • ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
বাজারে ছোলার অবস্থা:বর্তমানে বাজারে ছোলার চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে শহর ও গ্রামে সকালের নাশতায় সিদ্ধ বুট বেশ জনপ্রিয়। ছোলার দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, তাই এটি সকল শ্রেণির মানুষের খাদ্যতালিকায় সহজেই জায়গা করে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোলা বা বুট অন্তর্ভুক্ত করলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এটি খুব উপকারী।

কিসমিস: ছোট দানায় গুচ্ছ পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধের শক্তি

- No comments

কিসমিস - খুবই পুষ্টিকর খাবার

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাধারণত মিষ্টি ও শুকনো ফল বললেই সবার আগে যেটির কথা মনে পড়ে তা হলো—কিসমিস। আঙুর শুকিয়ে তৈরি হওয়া এই ছোট্ট ফলটি দেখতে যতটাই ছোট, উপকারিতা ততটাই বিশাল। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, কিসমিস শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও বিশেষভাবে সহায়ক।

কিসমিস কীভাবে তৈরি হয়?


 কিসমিসের পুষ্টিগুণ:

 কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
হজমে সহায়ক: এতে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
হাড় শক্ত করে: ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের গঠন ভালো রাখে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য উপকারী।
  • ত্বক ও চুলের যত্নে: কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে এবং চুল পড়া রোধে সহায়ক।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

বাজারে কিসমিসের চাহিদা:

পুষ্টিবিদের পরামর্শ: কিসমিস মূলত আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। বিশেষ জাতের আঙুর সূর্যের আলো ও হালকা তাপের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে কিসমিসে পরিণত করা হয়। এতে আঙুরের সব পুষ্টিগুণ সঙ্কুচিত হয়ে কনসেন্ট্রেট আকারে থেকে যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে প্রায়:

  • ৩ গ. প্রোটিন

  • ৭০-৭৫ গ. কার্বোহাইড্রেট

  • ৩-৪ গ. ফাইবার

  • উচ্চমাত্রায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

রক্তশূন্যতা দূর করে: কিসমিসে উচ্চমাত্রায় আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।

বাজারে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের কিসমিস পাওয়া যায়—সোনালি, কালো, বাদামি ইত্যাদি। ইফতারি থেকে শুরু করে নানা রান্না ও মিষ্টান্ন তৈরিতে এর ব্যবহার ব্যাপক।

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সকালে ৮–১০টি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে দেহে আয়রনের ঘাটতি কমে, হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীর থাকে চনমনে।