Random Posts

Theme images by Storman. Powered by Blogger.

Ads Top

Home Ads

Categories

Tags

Popular Posts

Latest in Sports

Showing posts with label স্বাস্থ্য - Health. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য - Health. Show all posts

নারী-শিশু সুরক্ষায় একযোগে মাঠে সরকার-এনজিও: আসছে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ’ কর্মসূচি

- No comments
নারী ও শিশু
নারী ও শিশু সুরক্ষায় মাঠে সরকার ও এনজিও

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় সমন্বিত ‘নিরাপদ বাংলাদেশ’ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন এনজিও এক প্ল্যাটফর্মে এসে নির্যাতন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০টি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘সেফটি ডেস্ক’ খোলা হবে, যেখানে সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা, চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সেবা পাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সহিংসতার শিকার হওয়ার পর মামলা করতে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সামাজিক চাপে অনেকেই মুখ খুলতে পারেন না। নতুন কর্মসূচির আওতায় নির্যাতনের অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়া মাত্র পুলিশ, নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “এখন আর সহিংসতার অভিযোগ পড়ে থাকবে না। স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এনজিও কর্মীরা যৌথভাবে ঘটনার দিনেই পদক্ষেপ নেবেন।” এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকেও এ প্রকল্পের আওতায় নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের প্রাথমিক হেল্প ডেস্ক হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা তৈরিতে স্কুল, কলেজ এবং মসজিদে বিশেষ সেশন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলোর গতি আসবে এবং সহিংসতার শিকারদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করলে নির্যাতন প্রতিরোধের পাশাপাশি সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছোলা: পুষ্টিগুণে ভরপুর স্বাস্থ্যকর খাবার

- No comments

ছোলা - খুবই ভাল স্বাস্থ্যের জন্য
ছোলা - স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোলা বা বুট—a আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম পরিচিত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি উপাদান। ভাজা, সিদ্ধ, বা তরকারি হিসেবে—নানাভাবেই এটি খাওয়া হয়। রমজানে ইফতারে ছোলার স্থান তো অবধারিত! তবে এর গুণাগুণ শুধু স্বাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ছোলার পুষ্টিগুণ: ছোলা প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ। 


প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৯ গ্রাম প্রোটিন ও ১৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি দেহের শক্তি বাড়ায় এবং 


দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।


স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা:

  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ওজন কমাতে সহায়তা করে
  • ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
বাজারে ছোলার অবস্থা:বর্তমানে বাজারে ছোলার চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে শহর ও গ্রামে সকালের নাশতায় সিদ্ধ বুট বেশ জনপ্রিয়। ছোলার দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, তাই এটি সকল শ্রেণির মানুষের খাদ্যতালিকায় সহজেই জায়গা করে নিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোলা বা বুট অন্তর্ভুক্ত করলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এটি খুব উপকারী।

কিসমিস: ছোট দানায় গুচ্ছ পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধের শক্তি

- No comments

কিসমিস - খুবই পুষ্টিকর খাবার

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাধারণত মিষ্টি ও শুকনো ফল বললেই সবার আগে যেটির কথা মনে পড়ে তা হলো—কিসমিস। আঙুর শুকিয়ে তৈরি হওয়া এই ছোট্ট ফলটি দেখতে যতটাই ছোট, উপকারিতা ততটাই বিশাল। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, কিসমিস শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও বিশেষভাবে সহায়ক।

কিসমিস কীভাবে তৈরি হয়?


 কিসমিসের পুষ্টিগুণ:

 কিসমিসের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
হজমে সহায়ক: এতে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
হাড় শক্ত করে: ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের গঠন ভালো রাখে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য উপকারী।
  • ত্বক ও চুলের যত্নে: কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে এবং চুল পড়া রোধে সহায়ক।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ: এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

বাজারে কিসমিসের চাহিদা:

পুষ্টিবিদের পরামর্শ: কিসমিস মূলত আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। বিশেষ জাতের আঙুর সূর্যের আলো ও হালকা তাপের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে কিসমিসে পরিণত করা হয়। এতে আঙুরের সব পুষ্টিগুণ সঙ্কুচিত হয়ে কনসেন্ট্রেট আকারে থেকে যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে প্রায়:

  • ৩ গ. প্রোটিন

  • ৭০-৭৫ গ. কার্বোহাইড্রেট

  • ৩-৪ গ. ফাইবার

  • উচ্চমাত্রায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

রক্তশূন্যতা দূর করে: কিসমিসে উচ্চমাত্রায় আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।

বাজারে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের কিসমিস পাওয়া যায়—সোনালি, কালো, বাদামি ইত্যাদি। ইফতারি থেকে শুরু করে নানা রান্না ও মিষ্টান্ন তৈরিতে এর ব্যবহার ব্যাপক।

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সকালে ৮–১০টি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে দেহে আয়রনের ঘাটতি কমে, হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীর থাকে চনমনে।