প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চল কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশ এখন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির আলামত দেখাচ্ছে। ATN
নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ, মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সংগঠন ARSA (Arakan
Rohingya Salvation Army)-এর সক্রিয় সদস্যরা বাংলাদেশের ভেতরেই সশস্ত্র প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র,
গোলাবারুদ ও উগ্রবাদী প্রচারপত্র। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রগুলো ক্যাম্পের ভেতর প্রশিক্ষণের
কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এদের ব্যবহার
হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাতের বেলায় পাহাড়ি এলাকায় অচেনা চলাচল, আলো-আঁধারি
বৈঠক এবং সন্দেহজনক গতিবিধি বেড়ে গেছে।
একজন গ্রামবাসী বলেন: “আগে শুধু চুরি-ছিনতাই ছিল, এখন গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে,
আমরা আতঙ্কে আছি।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি দ্বিগুণ করা
হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক। পুলিশের একটি
দল ক্যাম্পে রাতের বেলাতেও টহল দিচ্ছে।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ
আমরা সহ্য করব না। কঠোর নজরদারি চলছে।”
বাংলাদেশ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হলেও, ক্যাম্পের কিছু
অংশ এখন সন্ত্রাসী আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রোহিঙ্গাদের
মধ্যে যদি এই যুদ্ধসদৃশ মানসিকতা ছড়ায়, তবে তা কেবল বাংলাদেশের নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য
হুমকি।”
ক্যাম্পে জাতীয় পরিচয় যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সীমান্ত
এলাকায় আর্মড নজরদারি স্থায়ীভাবে বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের
জন্য চাপ তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তবে এখন সেই মানবতার
সুযোগ নিয়ে যদি কেউ অস্ত্র তোলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে
দমন করা উচিত। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, গোয়েন্দা তৎপরতা, সামাজিক সচেতনতা ও কূটনৈতিক চাপ—সবমিলেই
এই সংকটের সমাধান সম্ভব।
0 on: "যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, হুমকির মুখে বাংলাদেশ?"