পবিত্র আশুরা দিনেই ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) পরিবার-পরিজনসহ কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার এক অমর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। ইয়াজিদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মুসলিম সমাজকে চিরকাল ন্যায় ও আদর্শের পথে অনুপ্রাণিত করেছে।
কারবালার এই হৃদয়বিদারক ঘটনা মুসলমানদের জন্য শুধুই শোক নয়, বরং এটি একটি মহান শিক্ষা—যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস, ত্যাগ ও আদর্শের শক্তি প্রকাশ পায়।
তবে আশুরা শুধু কারবালার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই দিনে আরও অনেক ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ইসলামী ইতিহাস মতে, এই দিনেই হযরত নূহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পর্বতে অবতরণ করেছিল এবং হযরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি বিশেষ শোক ও মাতমের মাধ্যমে পালন করেন। সুন্নি মুসলিমগণ রোজা রাখেন এবং নফল ইবাদতে মশগুল থাকেন।
ইসলামের শিক্ষা অনুসারে, পবিত্র আশুরা আমাদের আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা এবং ন্যায়ের পথে অটল থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।