![]() |
চাঁদা না দেয়ায় ইট পাথর দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী হত্যা |
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের নিকটে চাঁদা না দেওয়ায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ী মোঃ সোহাগ (৪৩) পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উগ্র একটি চাঁদাবাজি চক্র তার ওপর বর্বর আচরণ করেছে। ডিএমপি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে, কার্যক্রম এখনো চলমান । বুধবার সন্ধ্যা প্রায় ৬টার দিকে রজনী ঘোষ লেন এলাকায় ঘটে।অভিযুক্তরা দীর্ঘ দুই–তিন মাস ধরে ব্যবসায়ী সোহাগকে চাঁদা দাবি করছিল। অভিযোগ, মূলতো চাঁদা না দেওয়ায় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্তরা তাকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে এবং মাথায় পাথর আঘাত করে। ডিএমপি জানায় এটি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয় বরং চাঁদাবাজির কারণেই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহ করে থাকা মঈন ও আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বডি মুভমেন্ট, মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ওপরের ভিডিও যাচাই–বিচার চলছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে। ভিডিও ভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে ধিক্কার, এর প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি “আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বরতা” হিসেবে উল্লেখ করে কঠোর বিচার দাবি করেছেন। হাসপাতাল অঞ্চলে ও নির্ভরযোগ্য এলাকায় রাউন্ড দ্য ক্লক পুলিশ টহল ও সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট নেতাদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে জীর্ণতর আইনের ধারায় কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা চাঁদাবাজিদের মুক্তিপথ বন্ধ করতে স্থানীয় কমিউনিটিতে শিক্ষার মাধ্যমে সতর্কতা ও প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনা আবারও তুলে দাঁড় করিয়েছে চাঁদাবাজি–স্বৈরাচারী চিন্তার ভয়াবহ চিত্র। আর যদি প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ় সংগ্রাম না করে, তাহলে এমন নির্মম হত্যা ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়তেই থাকবে। জনসাধারণ ও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সাথে নিয়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন জরুরি।